ভারতকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নৃশংস নির্যাতনে খুন হওয়া আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৭ অক্টোবর আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ পুনর্নির্মাণ করা হবে। বুধবার (২ অক্টোবর) ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।এর আগে ২০২০ সালে পলাশী মোড়ে আগ্রাসনবিরোধী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সে স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে লেখা হয় ‘অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে’।
আবরার ফাহাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলেও ওই উক্তি ব্যবহার করেছিলেন।
সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা—এই আটটি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে আটটি স্তম্ভ বানানো হয়েছিল। তবে নির্মাণের পরদিনই সেটি ভেঙে ফেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। দায়ের হয় হত্যা মামলা। ওই মামলায় সব মিলিয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরমধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য