কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ডের ব্যস্ততম জনবহুল এলাকায় অবস্থিত মেসার্স খাঁন ব্রাদার্স ফিলিং ষ্টেশনটি জনদুর্ভোগ কমাতে এবং জনস্বার্থে অন্যত্র স্থানান্তর করা জরুরী প্রয়োজন।
জানা যায়, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের জিরো পয়েন্টের ব্যস্ততম জায়গায় ২০/২৫ বছর আগে এই পেট্রোল পাম্পটি স্থাপন করা হয়। কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও কটিয়াদী-গাজীপুর মহাসড়কের পাশেই অনেকটা জায়গা নিয়ে পেট্রোল পাম্পটি নির্মিত হওয়ায় এবং তেল নিতে আসা বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইনে সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা এ যানজট লেগে থাকে। কোনো ধরনের ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল স্বেচ্ছা স্বাধীনভাবে চলতে থাকে। কটিয়াদী বাজার হইতে জিরো পয়েন্ট হয়ে মানিকখালী ও গচিহাটা রোডে যাওয়ার সময় পেট্রোল পাম্পের সামনেই শুরু হয় দীর্ঘ যানজটের। এ যানজট নিরসনে দেখার যেন কেউ নেই।
পেট্রোল পাম্পের সামনে কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি ছাড়াই বাস, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী ওঠানামা করে। এ সময় সাধারণ পথচারীরা নিরাপদে রাস্তা পারাপার হতে পারে না। পথচারীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে গেলেই ঘটে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।
পথচারী মো. হাসান আলী বলেন, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের এই পেট্রোল পাম্পের সামনে প্রতিদিনই বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। এ সময় আমরা সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটেও নিরাপদে রাস্তা পারাপার হতে পারি না। তেলের এই পাম্পটি অন্য জায়গায় নিয়ে গেলে সকলেরই উপকার হত।
সিএনজি চালক আব্দুল মোতালেব বলেন, আমি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রোডে সিএনজি চালাই। প্রতিদিন কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের পেট্রোল পাম্পের সামনেই দীর্ঘ সময় যানজটে জন্য বসে থাকতে হয়। এতে যাত্রীগণকে সময় মতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারি না। এই পেট্রোল পাম্পের এক পাশে জলসিড়ি বাসের কাউন্টার, সামনেই সিএনজি ও অটোরিকশা দাড়িয়ে থেকে যাত্রী উঠা-নামা করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের পেট্রোল পাম্পটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিলে অনেক জায়গা খালি হবে, এতে যানজট অনেকটা কমে যাবে।
মেসার্স খাঁন ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ বলেন, আমাদের এই পেট্রোল পাম্পটি ২০-২৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়ক থেকে অনেক দূরে ছিল এবং তখনকার সময়ে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কটি এতোটা প্রশস্থ ছিল না, তাছাড়া আগে এই রাস্তা দিয়ে এতো বেশি যানবাহন চলাচল করতো না। বর্তমানে রাস্তাটি প্রশস্ত করার কারণে সামনের অনেকটা জায়গা কমে গিয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে দূরপাল্লার অনেক ভারী ভারী যানবাহন চলাচল করিতেছে। এই পেট্রোল পাম্পটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। পেট্রোল পাম্পটি অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়ার বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাগনের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। উর্ধতন কর্মকর্তাগণের পরামর্শক্রমে পাম্পটি অন্যত্র স্থানান্তরের প্রক্রিয়া করা হবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য