-->

শেরপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা: নিহত-৬ 

দুর্ভোগে দেড়লাখ মানুষ  

মেহেদী হাসান শামীম, শেরপুর 
শেরপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা: নিহত-৬ 

শেরপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পাঁচ উপজেলার প্রায় ২৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে দেড়লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভয়াবহ বন্যায় নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে পানিতে ডুবে দুই সহোদর ভাইসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- নালিতাবাড়ী খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের সহোদর দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া,  এছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজন উদ্ধার হয়েছেন। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন এসব মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের সহোদর দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া। এছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজন উদ্ধার হয়েছেন। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। বেশ কিছু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে অনেক জায়গা বসত বাড়ি ঘর ধসে গেছে এবং শস্য ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সবচেয়ে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এইসব এলাকায় এখনো পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজারো মানুষ। তাদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবীরা। তবে পানির প্রবল স্রোত আর পর্যাপ্ত নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান তারা। 

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে গত কয়েকদিনে। এসব এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা জন্য আলাদা করে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং চেল্লাখালীর ২৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দু’টি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি এখনও বিপদসীমার সমান রয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি।

বন্যা পরিস্থিতি ব্যাপারে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান বলেন, আগামীকাল সোমবারের ভেতর কমবে সব নদীর পানি, উন্নতি হবে বন্যা পরিস্থিতি।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version