-->
শিরোনাম

শেরপুরে ২৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

মেহেদী হাসান শামীম, শেরপুর
শেরপুরে ২৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

শেরপুরে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে নদীর বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ারসার্ভিস, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলায় সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বাহির থেকে আগত বেশ কিছু সংগঠন কাজ করছে। তবে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেন স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। তার মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।

এদিকে শেরপুরে স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তেমনই মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত বন্যার কবলে পড়ে জেলায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই সহোদর ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচর এলাকার ওমেজা বেওয়া। এছাড়া ঝিনাইগাতী উপজেলার সন্ধাকুড়া এলাকা থেকে একজন উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে (৬ সেপ্টেম্বর) রবিবার নকলা উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকায় দুইজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের কুড়েরকান্দা বন্যার পানিতে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত মোক্তার আলী (৫০) মারা গেছেন, অপরদিকে একই উপজেলার গণপদ্দি গজারিয়া বন্যার পানিতে ডুবে আ. রাজ্জাক নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version