-->
শিরোনাম

গাইবান্ধায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ নদ-নদীর পানি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ নদ-নদীর পানি

বেশ কয়েকদিন থেকে ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে দফায় দফায় গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী পারের বাসিন্দারা। ওই সব এলাকায় আমন ধানসহ শীতের আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

ঘাঘট, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদের বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলা, সাঘাটা ও ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে হাজারো মানুষ পানি বন্ধি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গ্রামীন রাস্তায় পানি জমে জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে কাঁচা রাস্তায় কাঁদা হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে ওই সব এলাকার মানুষ।

সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের পারদিয়ারা এলাকার কালাম মিয়া (৫৩) বলেন, এ বছর দুইবার বন্যার শিকার হয়েছি। নতুন করে আবার নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে পানি। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে কয়েকদিনের মধ্যেই নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি উঠার শঙ্কা রয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক ভোরের আকাশকে বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকাল রোববার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমছে। অতি বৃষ্টি আর উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার শঙ্কা রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোনো নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ৬’শ মেট্রিকটন চাল, শুকনা খাবারের প্যাকেট মজুদ রয়েছে। আমরা সার্ক্ষনিক নজর রাখছি।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version