বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জে গুলিতে নিহত আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা কিলার আবু মুছা কে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে আবু মুছাকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানী শেষে বিচারক মো. রাসেল মাহমুদ ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর কক্সবাজারের সদর পৌরসভার কলাতলী বিচ এলাকা থেকে আবু মুছাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা (৪২) সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তবাড়ি মহল্লার মৃত ছানোয়ার হোসেন ছানুর ছেলে ও সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগের সদস্য।
গত ৫ অক্টোবর র্যাব-১২ এর হেডকোয়াটার থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিরতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষণ করে আবু মুছা। আন্দোলনে যুবদল নেতা রঞ্জু, আব্দুল লতিফ ও সুমন সহ তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই তিনটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী আবু মুছা। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫ অক্টোবর “কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলী বিচ এলাকা” থেকে আবু মুছাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কিলার আবু সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর প্রধান ক্যাডার। আ.লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে হামলা চালানোর কথাও স্বীকার করেছে মুছা।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য