নারাণয়গঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া বিসিক জামদানি পল্লীর পাশের সরকারি জমি ও খেলার মাঠ দখল করে নিটিং ডায়িং প্রিন্টিং ও ফিনিশিং কারখানা স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারখানার নির্গত কেমিক্যালযুক্ত রঙিন ও গরম পানি ফেলা হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদী, জলাশয়, পতিত জমিতে, বিসিক জামদানি পল্লীসহ আশপাশের এলাকায়। তাতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) নোয়াপাড়া জামদানি পল্লীর পূর্বপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৫টি আলাদা দাগে ১২ বিঘা ৭ শতাংশ জমি রয়েছে। ১৯৯৬ সালে নোয়াপাড়া গ্রামের হাজী আলাউদ্দিন পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নেন। পরে রূপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করে শতাধিক পরিবারের যুবকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সমবায় ভিত্তিতে মাছের খামার গড়ে তোলেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নবায়ন করে তিনি সমবায় মাছের খামার অব্যাহত রাখেন। এরপর থেকে লিজ নবায়নের জন্য হাজী আলাউদ্দিন দৌড়ঝাঁপ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড লিজ দিতে গড়িমসি করে। উপায়ন্তর না দেখে গত ২০১২ সালে তিনি আলাদতে মামলা দায়ের করেন। দেওয়ানী মামলা নং-৬৬৫/১২। পরে ওই জমিতে খেলার মাঠ ও জামদানি পল্লীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে মর্মে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রস্তাবে হাজী আলাউদ্দিন আদালতের মামলা তুলে নেন। সংসদ সদস্যের প্রস্তাব অনুযায়ী জলাশয় ভরাট করে সেখানে খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়। এর পর থেকে এলাকার শিশু-কিশোররা এ মাঠে খেলাধুলা করে আসছে। ২০২৩ সালে হাজী আলাউদ্দীন মারা গেলে ইউনিফিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে ওই খেলার মাঠে একটি নিটিং ডায়িং প্রিন্টিং ও ফিনিশিং কারখানা গড়ে তোলে। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে টু ফেব্রিক্স লিমিটেড ও ২২৪ নিটিং ডায়িং প্রিন্টিং ও ফিনিশিং নামক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। সে কারখানার কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙিন গরম পানি শীতলক্ষ্যা নদী, জলাশয়, পতিত জমিতে, বিসিক জামদানি পল্লীসহ আশপাশের এলাকায় ফেলা হচ্ছে। যে কারণে এলাকার মানুষ পড়েছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
মন্তব্য