-->
শিরোনাম

পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ নির্বিকার প্রশাসন

ফরিদুল আলম শাহিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি
পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ নির্বিকার প্রশাসন
লিংকরোডের এই নালাটি দিয়ে সারা বছর পানি নিষ্কাশিত হয়

কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার ঝিলংজার লিংকরোডে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালাটি বন্ধ করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা উত্তর মুহুরীপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জাফর আলম এই ভবন নির্মাণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

লিংকরোডের এই নালাটি দিয়ে সারা বছর পানি নিষ্কাশিত হয়। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মার্কেট, দোকানপাট, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কসহ পুরো এলাকা পানিবন্দি থাকে বর্ষাকালে।

স্থানীয়রা জানান, এই নালাটি ছিল বাঁকখালী নদীর শাখা খাল। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই নালা বা খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হওয়াতে জলাবদ্ধতা ছিল না এত দিন।

শহরের ময়লা-আবর্জনা এই খাল দিয়ে নদীতে পতিত হতো, কিন্তু লিংকরোড এলাকায় কতিপয় প্রভাবশালী দিন দিন এই খাল বা নালার উপর বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ অব্যাহত থাকায় নালাটি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, নালাটি দখল করে যে বহুতল ভবনসমূহ নির্মাণ করে পানি চলাচল বন্ধ করবে, এটা কখনও মেনে নেয়া যায় না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের খাল বা নালা দখল করে ভবন নির্মাণের দৃশ্যটি যেনো কারও চোখে না পড়ে সেজন্য কালো পলিথিন ও ঢেউটিন দিয়ে ঘেরাও করে দিয়েছে ভবন নির্মাণকারী জাফর আলমসহ অনেকে। দিনরাত শ্রমিক দিয়ে ভবনের নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুরো নালাটি ঢেউটিন দিয়ে ঘিরে দখল করে রেখেছে।

সচেতন মহল মনে করেন স্থায়ীভাবে নালা বন্ধ হয়ে গেলে কক্সবাজার শহরের একমাত্র প্রবেশদ্বার লিংকরোড এলাকা বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কওক)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কুদরত উল্লাহ সিকদার বলেন, বর্ষাকালে লিংকরোড এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।এ বিষয়ে নালাদখলকারী জাফর আলম ও তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এইটি খাল বা নালা নয় তাদের খতিয়ান ভুক্ত জমি।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, এভাবে কেউ নালা বা সরকারি জায়গা দখল করতে পারবে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ফারজানা রহমান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত না, এখন জেনেছি। নালা দখলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version