পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রফিকের তান্ডবে দিশেহারা আয়শা বেগম নামে এক বিধবা নারী। এমনটাই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আয়শা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা রফিক মরিচবুনিয়া খাশেরহাট সংলগ্ন ৪নং ওয়ার্ডের নসু সরদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী বিধবা আয়শা বেগম বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা রফিক সরদারকে চাঁদা না দিলে কৃষি জমি চাষাবাদের কোন সুযোগ নেই। এভাবে বছরের পর বছর তাকে চাঁদা দিয়ে জমি চাষাবাদ করতে হয় আমাদের। অন্যথায় প্রাননাশের হুমকি সহ বিভিন্ন তান্ডবের শিকার হতে হয়।
গত ৫'ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও আজ পর্যন্ত থেমে নেই এই নেতা। তার নির্মম অত্যাচারে আমার ২৭০ শতাংশ জমি এবছর চাষাবাদ করতে পারিনি। যার ফলে খাদ্য সংকটে দিশেহারা আমার পরিবার। সংকট উওরনের জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর আমি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, সদর থানা সহ পটুয়াখালীতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। যার ফলে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রফিক আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
ভুক্তভোগী আয়শা বেগম আরো বলেন, আমি একজন বিধবা নারী কিছু দিন হল আমার স্বামী মৃত বারেক প্যাদা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমার চারটি কন্যা সন্তান আছে। তারা সবাই বিবাহিত। স্বামীর পৈত্রিক বসত বাড়িতে আমার একাই থাকে হয়। আমি এই জালেমদের হাত থেকে কিভাবে রক্ষা পেতে পারি জানিনা। আইনের সহায়তা চেয়েও পাইনি।
এব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতা রফিকের কাছে জানতে তার বসতবাড়িতে গেলে তিনি আস্তে করে গা ঢাকা দেয় এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন দেনদরবার শুরু করে।
ভুক্তভোগী আয়শা বেগমের করা অভিযোগের বিষয় পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগটি গ্রহন করেছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এভাবে দায়সারা বক্তব্য দেন তিনি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য