মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচের দামে আগুন, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা দরে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। কয়েক দিন আগেও যে কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি ও দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যা, বৃষ্টি ও দেশের বাইরে থেকে না আসার কারণে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
গতকাল সোমবার মানিকগঞ্জ বেওথা বাজারসহ শহর ও বাসস্ট্যান্ডের কাঁচাবাজারসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি বা গৃহস্তের চাষ করা কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৩০ টাকা এবং হাইব্রিড জাতের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। কয়েক দিন আগেও যে মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।
ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়া বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। আমরা ৩৭০-৩৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনে এনে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
কাঁচামাল বিক্রেতা আবদুল জলিল জানান, ৩৮০ টাকা দরে পাইকারি কিনতে হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বাজারে সে মরিচ আমরা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। খরা ও বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
ক্রেতা ছালমা বেগম বলেন, যে মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা পোয়া কিনেছি, তা এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
পাইকারি আড়তদাররা জানান, টানা বৃষ্টি, বন্যা ও এলসির মাল ঠিকমতো না আসার কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, কাঁচাবাজারে নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়ানো হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য