মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ছোট কালিয়াকৈর হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পরিচালক এস.এম এনায়েত হোসেন (৫৫) তিনি ওই গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মিস্ত্রির ছেলে।
শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা এনায়েত হোসেন গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার এক সহপাঠীকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এরপর সহপাঠী ছাত্রীকে খাওয়ার জন্য পানি আনতে অন্য কক্ষে পাঠিয়ে দেন তিনি। এ সুযোগে ছাত্রীকে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করতে বলেন। এ সময় ছাত্রীর নেকাব খুলে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি দেখায় ওই পরিচালক। তারপরেও ছাত্রী বিষয়টি পরিবারকে জানালে পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে বিচার চায়। বিষয়টি প্রকাশ না করতে স্থানীয় হাবিল হোসেন বাদশা ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দেয়। থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে বাদী এসব উল্লেখ করেন।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে ঘুরে বিচার না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়েছে।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন বলেন, যাচাই করে দেখেছি ঘটনা সত্য। একজন পিতার সমতুল্য শিক্ষকের কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি।
কমিটির আরেক সদস্য ও বায়রা কলেজের প্রভাষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি নিন্দাজনক, অভিযুক্ত পরিচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
কোষাধ্যক্ষ ইব্রাহীম দরবেশ বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের নিয়ে বসে মীমাংসার কথা হয়েছে।
অভিযুক্ত ছোট কালিয়াকৈর হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা এস.এম এনায়েত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও ছাত্রীকে মিষ্টি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার এস আই মো. আলী আজম ফরাজী বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য