-->

কোরআন মেনে জীবন পরিচালনার কারনেই সাঈদীকে আল্লাহ মানুষের মনে জায়গা করে দিয়েছেন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
কোরআন মেনে জীবন পরিচালনার কারনেই সাঈদীকে আল্লাহ মানুষের মনে জায়গা করে দিয়েছেন

মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী বলেছেন, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কোরআনকে বুকে ধারণ করে, কোরআন মেনে জীবন পরিচালনা করেছিলেন। কোরআনকে বুঝে তিনি কোরআনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

যেহেতু তিনি কোরআনকে মেনেছেন কোরআনকে বুঝেছেন তাই আল্লাহ তার সম্মান পৃথিবীতে বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দির্ঘ ১৩ টি বছর বিনা অপরাধে কারাগারে থাকার পরে হাসিমুখে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। পিরোজপুর সহ গোটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো আল্লামা সাঈদীকে ভুলে যায়নি, কারন তিনি কোরআনের পাখি ছিলেন কোরআন মেনে জীবন পরিচালনা করতেন। তাইতো আল্লাহ মৃত্যুর পরেও তার প্রতি মানুষের ভালবাসা, সন্মান, শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ভালবাসার পিছনে একটাই কারন সে হলো কোরআন।

শামীম সাঈদী বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা এর বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় শামীম সাঈদী অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারাও একই ভাবে সন্মানিত হতে পারেন যদি আপনার সন্তানকে কোরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। দিন ও ইসলামী মাদ্রাসায় সন্তানকে কোরআনের পাখি বানান।

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. মুকিত হাসান খাঁন। তানযীমুল উলুম ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. মিম আতিকউল্লাহ এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসা এর বরিশাল শাখার অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান খান।

এসময় বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা পিরোজপুর জেলা শাখায় ১৪৩ জন ছাত্র ও ১০০ ছাত্রী হিফজ ও জেনারেল বিভাগে পড়াশুনা করে।

 

ভোরের আকাশ/মি

 

মন্তব্য

Beta version