-->
শিরোনাম

চট্টগ্রামের কিশোরীরা পাবে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা, ২৪ অক্টোবর শুরু

জেলা প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের কিশোরীরা পাবে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা, ২৪ অক্টোবর শুরু

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলার কিশোরীদের আগামী ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে দেওয়া হবে এক ডোজ বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা। এ কর্মসূচি চলবে মাসব্যাপী। টিকা নিতে চাইলে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করে সংগ্রহ করতে হবে টিকা কার্ড।

জানা যায়, শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী/কিশোরী (১০-১৪ বছর) ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এ টিকা দেওয়া হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং জন্মনিবন্ধনবিহীন কিশোরীদের হোয়াইট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসমূহে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা দেওয়া হবে।

জেলার ১৫ উপজেলার ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম-৯ম শ্রেণির ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩০ জন কিশোরী ও স্কুল বহির্ভূত কমিউনিটির ৭ হাজার ৫১৮ জন কিশোরীসহ মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার কিশোরীকে এই টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। এ মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে বর্তমান সরকার সারাদেশে আবারও বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। ১০-১৪ বছর বয়সী কোনো কিশোরী যেন এ টিকা থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ইপিআই ভ্যাকসিনের মধ্যে এইচপিভি সবচেয়ে দামি। এবারের লক্ষ্য হলো ৯৫ শতাংশ কিশোরীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এইচপিভি ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ জন সমন্বয়ককে কমিটিতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিভিল সার্জন বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে দেশের চট্টগ্রামসহ সাতটি বিভাগে কিশোরী ও ছাত্রীদের মাঝে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচি চলবে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এ ক্যাম্পেইন সফল করতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ৯০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করছে। সিভিল সার্জন আরো বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। এটি কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version