রাজবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলায় গোলাম মাহবুব রব্বানী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলীর ছেলে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তাকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
জানাগেছে, গত ২ সেপ্টেম্ব রাজবাড়ী সদর থানায় সদর উপজেলার খানখানাপুর বেপারীপাড়া গ্রামের মো. তারেখ খানের ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. জিসান খান বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, আহলাদিপুর গ্রামের মইনুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ফজলুল হক, ফারুক আহম্মেদের ছেলে মশিউর রহমান সবুজ, দর্পনারায়নপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা মেম্বার, গৌরিপুর গ্রামের মো. শুকুরের ছেলে শেখ ফরিদ আহম্মেদ, আহলাদিপুর গ্রামের গোপাল খানের ছেলে শাহিন খান, লোকমান খান ওরফে নোকা, ধুলদী জয়পুর গ্রামের আরশাদের ছেলে জাহাঙ্গীর প্রামানিক, রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন শেখ, চরখানখানাপুর মোল্যাপাড়া গ্রামের আমজাদ আলী মোল্যার ছেলে এস্কেন্দার আলী মোল্যা, মিজানপুরের ভাদুর ছেলে জুয়েল রানা, কলেজপাড়ার বাঙাল খোকনের ছেলে তারেক, মুকুল ড্রাইভারের ছেলে ঈশান, বালিয়াকান্দি উপজেলার রাজধরপুর গ্রামের মজিবর বিশ্বাসের ছেলে শরিফ সহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. জিসান খান বলেন, গত ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২ টার সময় রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে ১০০-১৫০জন শিক্ষার্থী অবস্থান করে কোটা আন্দোলনের শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল নিয়ে এসে সরে যেতে বলে। আমরা রাজি না হওয়ায় হামলা চালায়। এসময় তিনি সহ জোবায়দা ইসলাম সোহানা, তুষার পাটোয়ারী, সান সরদার, ত্রিয়াশা, আয়শা, সিনথিয়া, আসমা খাতুন, আদব পাঠান, নাঈম বিশ্বাস, কাওসার গাজী, ইব্রাহিম মল্লিক, তাওহীদ রাব্বি, মুন্না, বিল্লাহ হোসাইন, মেহেদী হাসান হৃদয়, বিল্লাল, মুরসালিন শেখ, রুমন ইসলাম, জিসান দেওয়ানকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এলোপাথারী গুলিবর্ষণ করে। এতে জুবাইদা ইসলাম সোহানা, তুষার পাটোয়ারী, সান সরদার, ত্রিয়াশা, আয়শা, সিনথিয়া, আসমা খাতুন, তাওহিদ রাব্বি, মুন্না, বিল্লাল হুসাইন ও বিল্লালদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর জখম হয়। এসময় ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশসহ স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খানখানাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি গোলাম মাহবুব রব্বানীকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য