জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে চট্টগ্রামে বিনামূল্যে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়া হবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কিশোরীকে। আগামীকাল ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে দেওয়া হবে এ টিকা। মাসব্যাপী চলবে এই কর্মসূচি। তবে টিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো অপপ্রচারে সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামীকাল ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টায় নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভাগ, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের মাসব্যাপী এ টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব। ইতিমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার জনকে এ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে ১ লাখ কিশোরী। ৪ হাজার ৩৮৮টি বিদ্যালয়ের ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৮৯ জনকে এ টিকার আওতায় আনা হবে। এর বাইরে ১০ হাজার ২১৯ জনকেও দেওয়া হবে টিকা।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে। ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং জন্মনিবন্ধনবিহীন কিশোরীদেরকে হোয়াইট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসমূহে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা দেওয়া হবে।
বেলজিয়াম থেকে এ টিকা আনা হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, দ্বিতীয় বৃহত্তম জরায়ু ক্যান্সার থেকে সারাজীবন মুক্ত থাকতে এটি কিশোরীদের জন্য বেশ কার্যকর। এ টিকা এক ডোজই যথেষ্ট। এ টিকা কিশোরীদের মাঝে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, এ টিকায় গুরুতর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সামান্য জ্বর কিংবা শরীর ব্যাথার মত উপসর্গ তৈরি হতে পারে। এছাড়া এ টিকাতে বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সবধরনের ট্রায়াল অতিক্রম করে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। কাজেই নির্ভয়ে এবং কোনোরকম দ্বিধাদ্বন্ধ ছাড়া এ টিকা নেওয়া যাবে। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে (রোগ ও নিয়ন্ত্রণ) ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, মেডিকেল অফিসার ডা. মুহাম্মদ নওশাদ খান ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এফএম জাহিদুল ইসলাম।
ভোরের আাকাশ/ সু
মন্তব্য