র‌্যাবের যৌথ আভিযানে শাহজাদপুরে আলোচিত তারা হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
র‌্যাবের যৌথ আভিযানে শাহজাদপুরে আলোচিত তারা হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আলোচিত তারা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আবু সাঈদ (৪৫)কে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। আজ শুক্রবার ( ১ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানী কমান্ডার, লেঃ কমান্ডার বিএন. এম আবুল হাশেম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় র‌্যাব-১২ এবং র‌্যাব-১ এর যৌথ আভিযানে গাজীপুর সদর থানার বাংলা বাজার এলাাকা থেকে আবু সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের মোঃ আঃ হাকিম এর ছেলে আবু সাঈদ (৪৫)।

সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানী কমান্ডার, লেঃ কমান্ডার বিএন.এম আবুল হাশেম সবুজ এর সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ০৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখ সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় দুর্বৃত্তরা লাঠি, লোহার রড, ফালা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাহজাদপুর থানার কায়েমপুর গ্রামস্থ ভিকটিম তারা সরকার (জুলমত সরকার) এর বসত বাড়ীতে অনধিকারে প্রবেশ করে এবং তারা ভিকটিমকে গালিগালাজসহ তার বাড়ী-ঘর ভাংচুর করতে থাকে। ভিকটিম দুর্বৃত্তদেরকে বাধা নিষেধ করলে আসামি মোঃ আবু সাঈদ হত্যার উদ্দেশ্যে ফলা দিয়ে ভিকটিমকের বুকের ডান পাশে ঘা দিয়া বিদ্ধ করত গুরুত্বর জখম করে এবং অন্যান্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। এলোপাথারী মারপিটের ফলে ভিকটিম তারা সরকার ঘটনাস্থলেই মৃত্যবরণ করে। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে মোছাঃ মিতু খাতুন বাদী হয়ে ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৩, ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৫০৬/১১৪/৩৪ দন্ড বিধি ১৮৬০।

এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২'র অধিনায়ক মোঃ কামরুজ্জামান পিপিএম, এর দিকনির্দেশনায় গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১ এর যৌথ আভিযানে গাজীপুর সদর থানার বাংলা বাজার এলাাকা থেকে আবু সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য