মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার চরতিল্লী এলাকায় বসেছে বেগুনের হাট। বড় বড় স্তূপ করে বেগুন রাখা হচ্ছে। এবার এ উপজেলায় বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে। সারা দেশে চাহিদা থাকায় জমে উঠেছে বেগুনের হাট। এবার বেগুনের দামও বেশি। ভালো ফলন ও দাম পেয়ে সাটুরিয়া উপজেলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে বেগুনের হাট। এ হাটের বেগুনের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে জেলাসহ ঢাকার কারওয়ান বাজার পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর চাহিদাও ব্যাপক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চরতিল্লী বাজারে তিল্লী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে খোলা জায়গায় বসেছে বেগুনের হাট। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা ভ্যানগাড়ি ও খাঁচায় করে বেগুন নিয়ে আসছেন। দুপুরের পরপরই পুরো হাট বেগুনে ভরে যায়। এরপর শুরু হয় বেচাবিক্রি। পাইকার ও শ্রমিকরা বেগুন কিনে বস্তাভর্তির কাজে ব্যস্ত থাকেন। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় নেওয়ার জন্য পাইকাররা ট্রাকভর্তি করেন।
উপজেলার চরতিল্লী গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, এ বছর চার বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কয়েক দিন ধরে বেগুন বিক্রয় করছি। আশা করি, ভালো দাম পেলে গত বছরের চেয়ে বেশি লাভবান হব।
আরেক কৃষক আব্দুল হালিম মিয়া বলেন, সাড়ে তিন বিঘা জমিতে এ বছর বেগুন চাষ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে দুই লক্ষাধিক টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষক মো. আব্দুস ছালাম দৈনিক ভোরের আকাশ এর মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি বাবুল আহমেদকে বলেন, আট বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে। এতে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করি, এ বছর সাত থেকে আট লাখ টাকার মতো লাভ হবে। গত বছর আট বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছিলাম। তখন ছয় লাখের বেশি লাভ হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবার দাম ভালো পেয়েছি।
অবশ্য একাধিক কৃষক জানান, আড়ৎদার ও বেপারিদের সিন্ডিকেটের কারণে আমরা ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। অন্যদিকে আড়তদার প্রতি মণ বেগুনের ওপর ১০ টাকা করে আদায় করে থাকেন।
চরতিল্লী বাজারের বেপারি ছানোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন এ বাজারে পাঁচ থেকে ছয় শ মণ বেগুন ক্রয় করে থাকি। ২৩ থেকে ৪৬ টাকা ধরে বেগুন ক্রয় করা হয়।
বাজারের মেসার্স ভাই ভাই আড়তের মালিক মো. সুমন বান্দু বলেন, প্রতিদিন এ বাজারে এক হাজার থেকে দেড় হাজার মণ বেগুন ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য