চট্টগ্রামকে গ্রীণ, ক্লিন ও হেলদি সিটি করা আমার নির্বাচনের ইশতেহারে ছিল। কাজেই এই ইশতেহার পূর্ণ করার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। আমাদের সবাইকে চট্টগ্রামকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমি ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাজগুলো দেখেছি। রাজশাহী শহরকে তারা সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। রাজশাহীতে ১০ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ মানুষ এবং ভোটার সাড়ে তিন লক্ষ। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রায় সত্তর লক্ষ মানুষ । আর ২০২১ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল ২০ লক্ষ। কাজেই চট্টগ্রাম একটা বিগ সিটি। এই শহরটা শুধু আমার একার নয়, এই শহরটা আমাদের-এই কথাটা যদি আমরা মনে করি এবং দেশপ্রেম, সততার সাথে কাজ করে এগিয়ে যেতে পারি আশা করি চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশ নয় এই সাউথ এশিয়ার মধ্যে গর্ব করে বলতে পারবে যে, আমরাও এগিয়ে যেতে পারি অ্যাডভান্সড কান্ট্রির মত। কাজেই আমাদের সবাইকে চট্টগ্রামকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কারণ চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোনো জো নাই।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়ে শপথ বাক্য পাঠ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় চসিক মেয়র বলেন, ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে জিওগ্রাফিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশনে এমন একটি জায়গায় আছে পাহাড়, সমুদ্র, পর্যটন, স্পেশাল ইকোনমিক জোন থেকে শুরু করে প্রতিটি এই চট্টগ্রাম নগরীর ওপর দিয়ে যেতে হবে। কাজেই আমরা যেটা মনে করছি, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোনো জো নাই। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের জিডিপিতে তিন খাত এখনও পর্যন্ত তার সমস্ত কিছু ঢেলে দিচ্ছে তার একটি হচ্ছে গামেন্টস খাত, মানবসম্পদ ও এগ্রিকালচার্স। সেই শহীদ প্রেডিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে সেটি এসেছে। কিন্তু চতুর্থ একটি খাত এখনও পর্যন্ত আমরা জিডিপিতে দিতে পারছি না সেটি হচ্ছে পর্যটন। যে পর্যটন শিল্পকে সামনে রেখে আজকে আমাদের সার্কমুক্ত দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ এন্টিএডভাইসমেন্ট, জঙ্গি এসব কথা বলে বলে আজকে আমরা আমাদের এই খাতকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি অথবা খাগড়াছড়ি সবকিছু কিন্তু চট্টগ্রাম শহরের ওপর দিয়েই যেতে হবে। আমার মনে হয়, চট্টগ্রাম শহরের ইন্টারস্ট্রাকচার যদি আমরা ডেভেলপ করতে পারি। চট্টগ্রাম যদি বাজেট দিয়ে এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন অ্যান্ড এনার্জি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কুতুবদিয়া-মহেশখালী হচ্ছে জাপানের সাথে কিংবা অন্যান্য কেন্দ্রের সাথে জয়েন্ট বেঞ্চারের যে কাজগুলো হচ্ছে সেই টাকা দিয়ে হলেও চট্টগ্রামের ইন্টারস্ট্রাকচার যদি ডেভেলপ করা যায় তাহলে কিন্তু বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেহেতু বেশ কয়েক মাস দায়িত্বে কেউ ছিল না। যার কারণে চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব বেসামাল। আমি দ্রুত দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামের যে মূল সমস্যা জলাবদ্ধতা। এখানে স্পষ্ট বলে রাখছি জলাবদ্ধতার যে প্রকল্পটি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল সেটি ২০১৬ সাল থেকে সিডিএর মাধ্যমে হচ্ছে। প্রায় এগারো হাজার প্রকল্পের এই প্রকল্পটি হয়তো আরো বাড়তে পারে। সেটি ২০২৬ সালে হয়তোবা শেষ হবে তখনই জলাবদ্ধতার একটি রেজাল্ট আমরা পাব। কিন্তু আমি যেটা মনে করি সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব আছে। এখানে যারা সেবা দানকারী সংস্থা আছে আমি চেষ্টা করব সবাইকে সাথে নিয়ে একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে একটি প্ল্যান্ট সিটি করার জন্য। সেক্ষেত্রে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা অনেকদিন থেকেই বলে আসছি একটা নগর সরকারের কথা। কিন্তু এটা যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে, যদি নগর সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে পরে এই উন্নয়নগুলি পরিকল্পিতভাবে হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য