মানিকগঞ্জের ঘিওরে রাতে রাস্তা সংস্কারের পর সকালেই কার্পেটিং পিচ উঠে যাওয়ার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এক রাতের মধ্যে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়।
জানা যায়, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার সিংজুড়ী ইউনিয়নের চরমাইজখাড়া-খাগ্রাটা এলাকায় রাস্তাটির পিচ ঢালাই দেওয়া হয়। আর সকালেই তা উঠে যেতে দেখেন স্থানীয়রা।
চরমাইজখাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ঠিকাদারের লোকজন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ করেছেন। বৃষ্টির ফলে রাস্তায় পানি-কাদা থাকলেও তারা গুরুত্ব দেননি। এমনকি গ্রামের লোকজন বাঁধা দিলেও তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিম্নমানের কাজ করেছেন। পরদিন শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এলাকাবাসী দেখেন রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে।
এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরমাইজখাড়া-খাগ্রাটা এলাকায় এক হাজার মিটার সড়ক রিপিয়ারিং কাজের টেন্ডার হয়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৪ লাখ টাকা। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাকছুদ ইঞ্জিনিয়ারিং।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঠিকাদারের লোকজন নির্মাণসামগ্রী নিয়ে কাজ করতে গেলে এলাকাবাসী বাঁধা দেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সড়কটির খানাখন্দের জায়গাগুলো বাদ রেখেই কাজ করা হয়।
তিনি আরও জানান, দাহ্য মিশ্রিত বিটুমিন নির্মাণসামগ্রী নষ্ট হবে ভেবে উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে তাদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
অবশ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম নিশাদ জানান, রাতে কাজের ফলে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখবো, প্রয়োজনে ফের ঢালাই দেওয়া হবে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. শাহিদুজ্জামান রাতে কাজের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি। কাজ চলমান আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য