-->

মেজর পদে উন্নীত হলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
মেজর পদে উন্নীত হলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, এনডিসি, পিএসসি এবং সুন্দরবন রেজিমেন্ট কমান্ডার লে: কর্ণেল মো. কামরুল ইসলাম, বিজিবি এম, পিএসসি সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সদর দপ্তর সুন্দরবন রেজিমেন্ট, শিরোমনি খুলনায় ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলীকে মেজর পদের র‍্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।

এসময় ডাইরেক্টর ট্রেনিং লে: কর্নেল মো. নাহিদুজ্জামান, বিজিবিএম, পিবিজিএম, মেজর ইশতিয়াক আহমেদ, মেজর পলাশ কুমার বিশ্বাস, লেফটেন্যান্ট রুম্মন বিন ইসলাম, এক্স বিএন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেজর মো. এছাহক আলী বর্তমানে, ২১ বিএনসিসি ব্যাটলিয়ন সুন্দরবন রেজিমেন্ট শিরোমনি খুলনার অধিনায়ক এবং আশাশুনি সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কর্মজীবনে তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে ১০ জুন ১৯৯৮ সালে যোগদান করে প্রথম কর্মজীবন শুরু হয়। ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলা ও কর্মকে ভালবাসেন তাই বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এ ২৫ মার্চ ১৯৯৯ সালে প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও) হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী ভাটিয়ারী, চট্টগ্রাম থেকে প্রি- কমিশন ট্রেনিং ৬ এপ্রিল ২০০২ ইং থেকে ২০ জুন ২০০২ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালের ১৭ জুলাই সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন এবং লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি পান ২৬ জুলাই ২০০৭। তিনি ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পান ২৭ অক্টোবর ২০১৪। দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরবন রেজিমেন্ট ০১ সুন্দরবন ব্যটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাটুন সমূহ পরিদর্শনসহ তদারকি করছেন। তিনি বিএনসিসিতে নিযুক্তির পর থেকেই প্রতি বৎসর বার্ষিক প্রশিক্ষণ অনুশীলন, ব্যাটালিয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন, ফায়ারিং প্রশিক্ষন অনুশীলন এ সহকারী অফিসার ইনচার্জ, অফিসার ইনচার্জ, উপ-অধিনায়ক এবং অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ ২০০২ সালে অংশগ্রহণ করে ৫৫ ব্রিগেডের ডি ব্রিফিং এ মেজর জেনারেল আশফাকের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। এ্যাডভান্স লিডারশীপ কোর্স ২০১২ এ সদর দপ্তর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর উত্তরা, ঢাকায় কোর্স সিনিয়র হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মহান জাতীয় স্বাধীনতা দিবস ও মহান বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে বহুবার অংশগ্রহণ করেছেন। ২০০২ সাল হতে সুন্দরবন রেজিমেন্টের একমাত্র প্যারেড কমান্ডার হিসেবে অদ্যাবধি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। শ্রেষ্ঠ পিইউও ২০০৩ সাল সুন্দরবন রেজিমেন্ট কর্তৃক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক হিসেবে জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। এটা বিএসসিসির জন্য গৌরবের বিষয়। ২০১০ সাল থেকে সোর্ড নিয়ে প্যারেড করেন। কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ অনুশীলনে ২০২৩ এ Best shooter এবং রেজিমেন্ট ক্যাম্পিং ২০২৪ শে ৪.৫ গ্রুপিং করে Best shooter হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

মেজর প্রফেসর মোঃ বজলুল করিম (অবঃ) সম্পদনায় "বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বির্বতনের ধারায়" বইটি সহযোগি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ও সংগঠনের সাথে নিজেক সম্পৃক্ত রেখে সমাজে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি সবার কাছে তারজন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি যেনো এভাবে বাকি জীবনগুলো দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারেন এবং উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version