-->
দেড় বছর ধরে চলছিল প্রেমের সম্পর্ক

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল ও থানার ওসি মো. আল আমীনের হস্তক্ষেপে দেড়বছরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠা প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হয়েছে। সোমবার উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলিগাঁও গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকার ওই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার হাসলিগাঁও গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে বোরহান মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতিবেশি হাতিবান্ধা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে জুঁই মনির সাথে। গত দেড় বছর ধরে তাদের মধ্যে চলে আসছিল প্রেমের সম্পর্ক। বোরহান ও জুই মনি তাদের প্রেমের সম্পর্কে বাস্তবে রূপ দিতে বোরহান মিয়া গত ১ নভেম্বর জুইকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।

কিন্তু ওই ঘটনায় বাঁধ সাধে প্রেমিক-প্রেমিকার অভিভাবকরা। বোরহান মিয়ার পরিবার এ বিয়েতে রাজি না। বোরহান মিয়াকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন তার পরিবারের লোকজন। জুই মনিও নাছোড়বান্দা। তার পরিবারের লোকজন রাজি না থাকলেও বোরহান মিয়া কাছে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত নিস্তার নেই। বোরহান মিয়ার বাড়িতেই অবস্থান করতে থাকে জুঁই মনি।

এ নিয়ে এলাকায় চলছিল নানা জল্পনা কল্পনা আলোচনা। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বিয়ে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে ও লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমীন, এসআই মহর আলীর হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক-প্রেমিকা উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান, মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ, সমাজ সেবক আক্রাম হোসেনসহ এলাকার অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন বিবাহবন্ধনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমীনের আন্তরিক সহযোগিতার কারনে ওই দুই কর্মকর্তার আন্তরিক ও মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে প্রশংসা করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশারাফুল আলম রাসেল বলেন, এ ধরনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করি।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version