সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও আলোকিত সমাজ বিনির্মানে সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন সহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। মঙ্গলবার ( ৫ নভেম্বর) জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সাথে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ'র এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের (ইনচার্জ) হাবিবুর রহমান, জাফলং টুরিস্ট পুলিশ জোনের (ইনচার্জ) শাহাদাৎ হোসেন, জৈন্তিয়া ১৭পরগণা শালিস সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর আবুল মৌলা চৌধুরী, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এনায়েত উল্লাহ, এম এ মতিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জৈন্তাপুর শাখার আমির নাজমুল ইসলাম।
উপজেলার কর্মসংস্থান বালুমহাল ও পাথর কোয়ারীগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মিলগুলো চালানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। তামাবিল মহাসড়কের সংস্কার সহ চারলেন রাস্তার কাজের অগ্রগতি বাড়ানোর আহ্বান জানান। উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। সরকারি জমি দখলমুক্ত করা সহ উপজেলার দুর্গম এলাকায় পানির নিশ্চয়তা প্রদানে গভীর নলকূপ স্থাপন ও জৈন্তাপুর সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার দাবী করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকারী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আহবান জানান এবং জৈন্তাপুরের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবী করেন। জেলা প্রশাসক সব সমস্যা ও দাবির কথা শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুল হক মুহিব বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসান আহমেদ চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন (ইনচার্জ) আল আমিন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমান, আবাসিক প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, হাবিব নগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির খান, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাজমা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদ হাসান, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার (মাধ্যমিক) মো: আজিজুল হক খোকন, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম, মাষ্টার মামুনুর রশিদ,কাকুলী শর্মা, আদিবাসী নেতা গৌরাঙ্গ পাত্র, সমাজসেবী আব্দুস শুক্রুর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, তামাবিল বাস মালিক সমিতির সভাপতি নূর উদ্দিন, স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সোহেল, পূর্ব বাজার সমিতির সেক্রেটারী আবু তাহের, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির খান, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি এম এম রুহেল, জৈন্তাপুর ট্রাক চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ, এনজিও কর্মী মুছব্বির আহমদ, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুজিবুর রহমান, ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, শ্রীপুর পাথর কোয়ারীর সভাপতি আব্দুল আহাদ, বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নর সভাপতি আলি আকবর, সংবাদ কর্মী সোহেল আহমদ, সারী বারকি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমির আলি। এছাড়া মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য