-->
শিরোনাম

বৃদ্ধ কৃষকের জমির পাকাধান কেটে দিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বৃদ্ধ কৃষকের জমির পাকাধান কেটে দিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আসান প্রামাণিক (৭০) নামের এক অসহায় বৃদ্ধ কৃষকের ৬০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে দিলেন আনসার ভিডিপির সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট চন্দন দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, বুধবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফসলী মাঠ থেকে ধান করে ঘরে তুলে দিয়েছেন সহকারী ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার সবুজ মিয়া।

জানাযায়, কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের এক অসহায় কৃষক বর্গায় ৬০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেন। সেই জমির ধান পেকে গেছে। এসময় ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি বেশি ও শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে অসহায় কৃষক পাকা ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পরেছেন। পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন অসহায় বৃদ্ধ কৃষক আসান প্রামাণিক।এমন খবর পেয়ে বিনা পারিশ্রমিকে বর্গাচাষির ধান কেটে দিয়েছেন স্থানীয় আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন আনসার সদস্যরা।

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলাতে ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। তিনটি হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা হচ্ছে। আনসার সদস্যরা স্বেচ্ছায় কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার বিষয়টি প্রশংসনীয় বিষয়।

রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের সহকারী ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার সবুজ মিয়া বলেন, একদিকে শ্রমিক সংকট এবং একজন শ্রমিকের মূল্য ৫০০ টাকার সঙ্গে একবেলা খাওয়া দিতে হয়। তারপরেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অসহায় কৃষক আসান প্রামাণিক অন্যের জমি নিয়ে চাষাবাদ করেন। শ্রমিকের যে মজুরি তাতে আসান প্রামাণিকের জন্য খুবই কষ্টকর। বিষয়টি শোনার পরে আমিসহ ১২-১৫ জন আনসার ভিডিপির সদস্য কৃষক আসান প্রামাণিকের ধান কেটে দিয়েছি।

বৃদ্ধ কৃষক আসান প্রামাণিক বলেন, আমি অন্যের ৬০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছি। বর্তমানে ধান পেকে গেছে। আমি কামলা (দিনমজুর) পাইনি। আনসার কমান্ডার সবুজ মিয়াকে বলার পর তারা আমার ধান বিনা মূল্যে কেটে দিয়েছে। আমি তাদের এই কাজে অত্যন্ত খুশি।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কামারখন্দ উপজেলা প্রশিক্ষক মো. নবিরুল ইসলাম বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা অনেক গর্বের। তাদের কাজে আমরাও গর্বিত।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট চন্দন দেবনাথ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আনসার ভিডিপি সর্বদাই দেশের ও দেশের প্রান্তিক জনগণের জন্য কাজ করে। তাদের প্রসংশনীয় কাজে আমরা গর্বিত।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version