বরিশালে অন্যতম স্থান হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা পথ দখল করে অবৈধভাবে দোকান বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দূরপাল্লা থেকে আসা যাত্রীদের প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এ যেন দেখার কেউ নেই কোনো কর্তৃপক্ষ। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের ব্যস্ততা। পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন,সেখানেও একই অবস্থা।
রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং আর হকারদের ব্যবসা। এমনকি সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিসের পথও রুদ্ধ হয়ে গেছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের কারণে। ছোট ছোট দোকান, ব্যবসাসামগ্রী আর হকারদের ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিদিনই হয়রানি পোহাচ্ছেন পথচারীরা।
একদিকে ফুটপাত দখল, অন্যদিকে রাস্তায়ও ঠিকভাবে হাঁটার অবস্থা নেই। ফুটপাত থেকে নামতেই রাস্তার পাশজুড়ে সারি সারি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সাইকেল আর মোটরসাইকেলের ভিড়। তখন আরও বিড়ম্বনা আরও বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বরিশালের স্থানীয়রা বলছেন, ফুটপাতে ব্যবসা হওয়ায় মানুষ হাঁটাচলা করতে পারে না। আর রাস্তায় যে হাঁটবে, তারও উপায় নেই। রাস্তাজুড়ে রিকশা-অটোরিকশা। পথচারীদের বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশ প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই এলাকার ফুটপাতের উপরে অন্তত ১০ থেকে ১৫ টি চায়ের দোকান বসানো হয়েছে। অপর প্রান্তে বিভিন্ন তরকারী বিক্রেতারাও ফুটপাত দখল করেছেন।চলছে রাতদিন হরদম কেনাবেচা,ফলে লোকজন চলাচল করছে খুব কষ্ট করে। একদম গা ঘেঁষাঘেঁষি করে। পাশাপাশি দুজনের হাঁটার কোনো সুযোগ নেই। ঠেলাঠেলি করে হাঁটতে হয়।
কিন্তু স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পুনরায় দোকান বসিয়েছে অবৈধ চক্রটি।অথচ কেনাবেচার জন্য সিটি কর্পোরেশন চৌমাথা বাজার নির্দিষ্ট স্হান নির্ধারণ করে দিলেও সেখানে তাদের বসার ইচ্ছে নেই।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য