-->

শেরপুরে ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জলন’

মেহেদী হাসান শামীম, শেরপুর 
শেরপুরে ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জলন’

বিপদ-আপদ, রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের লোকনাথ অনুসারী ও ভক্তরা ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জলন’ পালন করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকে শত শত হিন্দু ধর্মাবল্বী পূর্ণাথীরা। হাজার হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনে আলোকিত হয়ে উঠে মন্দির প্রাঙ্গন। সেই সাথে নারীদের উলুধ্বনীতে মন্দির প্রঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠে।

জানা গেছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়মানুযায়ী প্রতি বছরের কার্তিক মাসের ১৫ তারিখের পর মাসের বাকি সময়ের প্রতি শনি অথবা মঙ্গলবার তারা এ ‘কর্ত্তিক ব্রত’ বা ‘রাখের উপবাস’ পালন করেন। তাই সারাদিন উপবাস পালনের পর প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শেরপুর জেলা শহরের মুন্সিবাজারস্থ রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে শনিবার সন্ধ্যায় বসেছিলো এমনি এক পূজা অর্চনা বা ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জলন’।

লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দিরে সামনে কয়েকশ নারী-পুরুষ প্রদীপ, ধুপ, ফল, ফুল সামনে নিয়ে একাগ্রচিত্তে লোকনাথের আরাধনায় নিমগ্ন হয়েছিলো। যতক্ষণ না পূজা শেষ না হয়, ততক্ষণ তারা ওই প্রদীপ জ্বালিয়ে বসে থাকেন আর নিজেদের মনবাসনা পূরণ করতে প্রার্থনা করেন।ব্রত উদযাপনে আসা ভক্তরা জানায়, এই ব্রতের আগের দিন সংযম করতে হয়। তারপর উপবাস থেকে সন্ধ্যায় আগে ধুপ, প্রদীপ ইত্যাদি নিয়ে বসতে হবে। আরাধনায় বসে প্রদীপ জ্বালানোর পর কথা বলা বন্ধ করে দিতে হয়। সংযম, মনোব্রত ও মনকে একাগ্রচিত্তে লোকনাথকে ডাকতে হয়। তারপর প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগ মুহূর্তে পাশ্ববর্তী পুকরে বাবা লোকনাথের নামে তা ভাসিয়ে দেয়া হয়।

শেরপুরের এই লোকনাথ মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এ পূর্জা অর্চনা হয়ে আসছে। তবে ১৯৮৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতি বছর পালিত হয় এ ‘রাখের উপবাস ও ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জলন উৎসব। এতে শত শত লোকনাথ ভক্তদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version