গাইবান্ধা জেনারেল সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক নুর এ ইসলাম হিরুর বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে অঢেল সম্পত্তির মালিক ও ৬ তলা ভবনের বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচার হলেও প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা দেখেও না দেখার ভান করে আসছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, নুর এ ইসলাম হিরু জেনারেল সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক হিসেবে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক হিসেবে থাকার সুবাদে জালিয়াতির মাধ্যমে হাসপাতালের বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার তৈরী করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি চাকরির এই আয়ের উৎস থেকেই স্ত্রী রানু আকতার ও শাশুরী আনোয়ারার নামে শহরের মহুরীপাড়ায় ৭ শতক জমি কিনেছেন। যার মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। হিরুর স্ত্রী একজন গৃহিনী, পৈত্রিক সূত্রেও স্ত্রী ও তার নামে কোন জমাজমি নেই। এছাড়া শহরের পলাশপাড়ায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের অট্টালিকা পাকা বাড়ি রয়েছে। তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নম্বরে লাখ লাখ টাকা লেনদেনও করে থাকেন।
এছাড়া ক্রয়কৃত উক্ত ৭ শতক জমির উপর ৬ তলা ভবনের ৩ তলা পর্যন্ত পাথর দিয়ে নির্মাণ কাজের প্রায় ৬৫ ভাগ কাজ শেষ করেছেন। ওই কাজে প্রায় ৩/৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি ৬ তলা ভবনের বাকি কাজ করতে আনুমানিক ৭/৮ কোটি লাখ টাকা লাগতে পারে। শুধু তাইনয়, হিরুর শশুর বাড়িতে জমি ক্রয়, স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে ফিস ডিপোজিটও রয়েছে। এ বিষয়ে তার প্রকৃত আয়ের উৎস, মানি লন্ডারিং অপরাধ, অবৈধ সম্পদের খোঁজ তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। বিষয়টি তদন্ত ও প্রতিকারের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নুর এ ইসলাম হিরুর অফিসে গিয়ে তালা বদ্ধ অবস্থা দেখা যায়, ফলে তার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে রিসিভ করেননি। ফলে তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য