খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুদকছড়া ভারতবর্ষ পাড়ায় বিবদমান দুই পাহাড়ি সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে। নিহত মিটন চাকমা (৩০) ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত দল এর পানছড়ির সংগঠক বলে দাবী করেছে সংগঠনটি। মিটন চাকমা রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে মারা যায়।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম জানান, ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় গোলাগুলির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, কোন হতাহতের খবর জানা যায়নি।
নিরন চাকমার পাঠানো ইউপিডিএফ এর জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে দাবী করেছেন, জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) এর একদল সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালালে মিটন চাকমা নিহত হন। বিবৃতিতে জানানো হয়, মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন উদোল বাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন।
বিবৃতিতে অবিলম্বে পানছড়িতে অবস্থানরত জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও মিটন চাকমা হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। এর আগে ৩০ অক্টোবর একিই উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ি শান্তি রঞ্জন পাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হন।
খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘দুপুরের পর পানছড়িতে একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফ সংগঠক মিটন চাকমা নিহত হন। হত্যার ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে ইউপিডিএফ।’
মিটন চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২২ সালের নভেম্বরে ইউপিডিএফে যোগ দেন। তিনি জেলার দীঘিনালার উদোলবাগান গ্রামের সুশান্ত চাকমার ছেলে।
পানছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি।’
এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী মারা যায়। এরা সবাই প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কর্মী ছিল। ওই ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য