পিরোজপুরে বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে খোয়ানো টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা পুলিশ। সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভুক্তভোগীদের হাতে উদ্ধার করা এসব টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।
পুলিশ সুত্র জানায়, প্রতারকচক্র বিকাশ, নগদ ও অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে এবং অন্যের মেসেঞ্জার, ইমো হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করে অধিকতর সহযোগিতার জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসেন। পিরোজপুর পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মো. মুকিত হাসান খাঁন ভুক্তভোগীদের অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে সনাক্ত করেন এবং সংশ্লিষ্ট থানার সহযোগিতায় টাকা উদ্ধার করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, পিরোজপুর শহরতলীর দক্ষিণ পূর্ব মাছিমপুর (ইয়াসিন খানের পুল ৮নং ওয়ার্ড) এর বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান বাবলু’র ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর পিন নম্বর হ্যাক করে গত ৫ জুলাই ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালকের পরিচয়ে পিরোজপুর সুইপার কলোনীর ডোম চয়নের কাছে ফোন করে নিরাপত্তা বেস্টনীর ভাতা প্রদানের কথা বলে গত ১ অক্টোবর বিকাশে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। হুলারহাটের মরিচাল এলাকার মো. নাছিম হোসাইন এর এক বন্ধুর ইমো ও মেসেঞ্জার আইডি হ্যাক করে বিভিন্ন সময়ে বিদেশী নম্বর দিয়ে কল করে প্রলোভন দেখিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে গত জুন ও জুলাই মাসে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
পুলিশ এসব ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের কাছ থেকে এক লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্র গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নড়াইল জেলা সদর ও কালিয়া থানা এবং ফরিদপুরের ভাংগায় বসে অপরাধ সংগঠিত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য