ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে সিরাজগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে এনজিও এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল আধিক্য পাচ্ছে। আমাদের উত্তরবঙ্গ থেকে একজনকেও উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এবং আমাদের যে তিনটি দাবী দেয়া হয়েছে সে তিনটি দাবি মেনে নিতে হবে। আমাদের উত্তরবঙ্গ থেকে যেনো একজন উপদেষ্টা নির্ধারণ করা হয়। এখান থেকে সরে এসে বৈষম্যহীন যোগ্য লোকদের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ সাজানোর দাবি জানান।
বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসির আরাফাত ইশান বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রদের সঙ্গে আবার প্রতারণা করা হচ্ছে। সরকার গঠনে ছাত্রদের অংশদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে ফ্যাসিবাদের দোসরদের ডেকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এই দেশে পুনরায় স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার যে চক্রান্ত করা হচ্ছে, তা কখনো বাস্তবায়ন হবে না। এসময় কোনোভাবেই জুলাই বিপ্লবের চেতনা বেহাত হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন। অভুত্থানের ফল পেতে সতর্ক অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক যুবাইর আল ইসলাম সেজান, সজীব সরকার, ইয়াসির আরাফাত ইশান ও টি এম মুশফিক সাদসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে তিনটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবি গুলো হলো: ১. এককেন্দ্রিকতা বাদ দিয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এই আন্দোলনের সব অংশীদারকে রাষ্ট্রগঠনে সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। ২. ছাত্র-জনতার মতামত না নিয়ে উপদেষ্টা নিয়োগের জবাবদিহি করতে হবে। কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোন আঁধার ঘরে বসে সচিবালয়ে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয় তা অবিলম্বে জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে। ৩. ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যা এই সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধ করবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য