শেরপুরে সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে রেজি: পাওয়া এক হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার হাসপাতাল দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মো. রেজুয়ানুর রহমান বকুল। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া শেরপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করে। ওই কলেজে নজর পড়ে সাবেক এমপি আতিকের। তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রিন্সিপাল বকুলকে জামায়াত ঘরনার ট্যাগ দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করেন। এসময় প্রাণ ভয়ে বকুল শেরপুর ছেড়ে দীঘদিন জেলার বাহিরে অবস্থান করেন। সেই সুযোগে ওই কলেজেরই অসাধু কিছু শিক্ষকের যোগসাজসে কলেজটি বন্ধ করে দিয়ে তার নিজ এলাকা ভাতশালায় আতিউর রহমান হোমিওপ্যাথিক কলেজ নামের আরেকটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
লিখিত অভিযোগে বকুল আরো জানান, তার কলেজের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাথীসহ সকলকেই ক্ষমতার প্রভাবে তার কলেজে নিয়ে যান। এসময় তিনি সাবেক এই হুইপের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্যেরও অভিযোগ আনেন।
এ বিষয়ে আতিউর রহমান হোমিও প্যাথিক কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, শেরপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও আব্দুস সাত্তার হাসপাতালের জমি ও এফডিয়ারের টাকা নিয়ে নয়ছয় করায় তার কলেজের রেজি: বাতিল হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য