-->

ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা; ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা; ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ছোট ভাই আরিফ বিল্লাহকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী আরিফ বিল্লাহ সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের আবদুল ছাত্তার মন্ডলের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) নিরঞ্জন কুমার ঘোষ।

তিনি মামলার বরাত দিয়ে বলেন, ২০২১ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে আসামি আরিফ বিল্লাহ সঙ্গে তার মা হামিদা বেগমের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আরিফ বিল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে রাইচ কুকারের ঢাকনা ভেঙ্গে ফেলেন। পরে আরিফ বিল্লাহর এমন আচারণ হামিদা বেগম তার বড় ছেলে শহিদুল ইসলামকে জানায়। এরপর শহিদুল ইসলাম রাতেই আরিফ বিল্লাহ কাছে রাইচ কুকারের ঢাকনা ভেঙ্গে ফেলার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আরিফ বিল্লাহ উত্তেজিত হয়ে বড় ভাই শহিদুল ইসলামকে মারপিট করে আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন শহিদুল ইসলামকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চারদিন চিকিৎসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।লাশের সুরতহাল শেষে বাড়িতে আনা হয়। পরের দিন ২০ সেপ্টেম্বর নিহত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাসফুয়া আকতার বাদি হয়ে আরিফ বিল্লাহকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত আজ আসামী আরিফ বিল্লাহকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু বলেন, এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিচার সঠিক হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আদালত উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য সাত দিনের সুযোগ দিয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version