বিরল রোগে আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন অসহায় বাবা আমিনুল ইসলাম। অর্থ সংকটে করাতে পারছেন না চিকিৎসা। ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ছেলেটির বাবা।
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার ছারছিনা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জুবায়ের আল মাহমুদ বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জিহ্বায় টিউমার সদৃশ বিরল এক রোগ জুবায়েরের জীবনকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে। মুখে রুমাল বেঁধে স্কুলে যাওয়াসহ সমাজের সবকিছু থেকেই নিজের এই রোগকে আড়াল করতে হয় রুমাল দিয়ে। জুবায়ের যেন সমাজের এক বোঝা।
বাবা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, জুবায়ের আল মাহমুদের জন্মের পরেই তার জিহ্বায় এক বিরল রোগ দেখা দেয়। ছোটবেলায় রোগটির প্রকোপ আরো কম ছিল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে রোগটি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। জিহ্বা বড় হয়ে যাওয়ায় তরল খাবার ছাড়া কিছুই খেতে পারে না জুবায়ের।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ইতিমধ্যে চিকিৎসা করালেও কোনো কিছুতেই সুস্থ হয়নি জুবায়ের। এরপর দেশের ডাক্তারদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের ভেলরে নিয়ে যান নিজ সন্তান জুবায়েরকে।
বিক্রি করে দেন তার সামান্য কৃষি জমিটুকু।
জমি বিক্রির সামান্য টাকায় ভারতে ৪৯ দিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন তারা। পরবর্তী ৩ বছর পরে পুনরায় ভারতের ভেলরের সেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার কথা থাকলেও অর্থসংকটে বর্তমানে দেশেও চিকিৎসা করাতে পারছেন না এই অসহায় পরিবারটি।
নিজের জীবনের বিনিময় হলেও সন্তানকে বাঁচাতে চান এই বাবা। মাথা গোঁজার ঠাই ছাড়া বর্তমানে আর কোনো অর্থসম্পদ নেই তাদের। ছেলের চিকিৎসার জন্য সবকিছু বিক্রি করে বর্তমানে সর্বহারা এই পরিবারটি ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য