সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আগুনে পুড়ে গেছে শ্রমিক পল্লীর অন্তত ২০টি কক্ষ পুড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কারখানা খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত শ্রমিকরা কারখানাটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে ৩ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে না পৌঁছায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে আশুলিয়ার জিরানী নবী টেক্সটাইল এলাকার আমাজন নিটওয়্যার লিমিটেড বা আলআমিন ফ্যাক্টরি নামে পরিচিত কারখানায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসিন্দারা জানায়, সকালে স্থানীয় আমাজন ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তবে গত কয়েকদিন থেকেই পার্শ্ববর্তী বেক্সিমকো কারখানায় শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। আজ স্থানীয় ডরিন নামে আরও একটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়৷ পরে বেক্সিমকো কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক আমাজন কারখানায় এসে হট্টগোল করে কাজ বন্ধ করে রাখতে বলে।
এসময় আমাজন কারখানার মালিক ও স্টাফরা বেক্সিমকো কারখানার এক শ্রমিকের মাথা ফাটিয়েদেয়া সহ কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা আমাজন কারখানায় ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে আগুন কারখানা থেকে আশপাশের শ্রমিক কলোনীতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায় তিন ঘন্টা ধরে আগুন জ্বললেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুর ১ টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে না পৌঁছায় সবকিছু পুড়ে গেছে। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সকাল ১১টায় আগুন লাগলেও তারা দুপুর পর্যন্ত এখানে আসেনি।
কারখানার পাশাপাশি শ্রমিক পল্লীর অনেক অসহায় শ্রমিকদের মূল্যবান জিনিসপত্রসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, জিরানী এলাকায় একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দুটি ফায়ার ইউনিট নিয়ে অনেক আগেই রওনা হলেও পথে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বাঁধা দিয়েছে। যে কারণে সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারিনি। এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য