উত্তরের জনপদ কৃষি নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। এ জেলায় ধান, গম, ভুট্টা,আখ,সবজি চাষ করেন প্রান্তিক কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎ করেই নেমে আসা উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির কারণে সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন।
তাই চলতি রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ বছরের প্রণোদনায় গাইবান্ধা সদর উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৫৭০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের বীজ এবং সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় সরিষা, ভূট্রা, গম, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ, সয়াবিন, মসুর, মুগ, খেসারি, অড়হড়সহ নানা ধরনের ফসলের বীজ রয়েছে।
প্রণোদনার এই কর্মসূচি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ উপজেলার কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এবং এর জন্য কৃষি খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ ও যান্ত্রিকীকরণে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি এলাকার কৃষক কাদের আলী (৩৫) বলেন, গত কয়েক মাস আগে যে বন্যা হয়েছিল, সে বন্যায় আমার ২ বিঘা জমির ফসল ধান,পাট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে আমার। তাই আজকে যে সার, সরিষা বীজ প্রণোদনা পেলাম, এতে কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে। এসব আবার নতুন করে ফলায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান এই কৃষক।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহাদৎ হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গিয়ে চিহ্নিত করে প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার নির্দেশনা দিয়েছে, কোন জমি যেন পতিত না থাকে এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য