বরিশাল মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কহিনুর বেমগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম কাউনিয়া থানাধীন শহরের ভাটিখানা এলাকার বাসা থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন পর মামলায় প্রথমবারের মতো নারী নেত্রীকে এই প্রথম গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেত্রী কহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয় পোড়ানোসহ অন্তত চারটি মামলা রয়েছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চার থানায় ডজনখানেক মামলা হয়েছে। বিএনপি নেতা এবং ভুক্তভোগীদের এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র কহিনুর বেগম যে মামলাটিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেই মামলার বাদী বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। বিএনপির অফিস পোড়ানো এই মামলার ১ নং অভিযুক্ত পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম কারান্তরীণ। এর আগে গত ২২ আগস্ট আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় হাজারখানেক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলাটি করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক।
সূত্রটি জানায়, আলোচিত মামলার উল্লেখযোগ্য আসামি সাবেক দুই সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে রুটিন মাফিক কাজ শুরু করেছে।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিএনপি অফিস পোড়ানোর মামলায় কহিনুর বেগম নামধারী আসামি। মঙ্গলবার কাউনিয়া থানাধীন ভাটিখানা বাজার এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং পরবর্তীতে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা আছে। সেই মামলাগুলোতেও কহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং মঙ্গলবারই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেত্রী কহিনুর বেগম আদালতে উকিল নিয়োগ করে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন, কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য