শেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪ টি বসতঘর ভস্মিভূত হয়েছে। (২০ নভেম্বর) বুধবার রাত সাড়ে ৮ টা দিকে শেরপুর পৌর শহরের গৌরিপুর বউবাজার সংলগ্ন মো.আব্দুল বারি মিয়ার বসতবাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বাড়িতে বসবাসকারী ভাড়াটিয়া মো. মানিক মিয়া, মো. কামাল উদ্দিন, মোছা. মনোয়ারা বেগম ও মো. সোহাগ মিয়া এবং দোকান মালিক শ্রী চয়ন দে, শ্রী মঙ্গল কালোয়ার, শ্রী সুবল দে এর দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্তদের।
বাড়ির ভাড়াটিয়া ক্ষতিগ্রস্ত কামাল উদ্দিন জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমি আর আমার ছেলে দুজনেই তখন ঘরের ভিতরে ছিলাম। হঠাৎ আমার ছেলে চিৎকার দিয়ে বলে আব্বু উপরে আগুন। আমি উঠে দেখি উপরে আগুন জ্বলছে। আমার পাশের রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ওই রুমের ভাড়াটিয়া মানিক মিয়া। রুমটি গত দু’দিন যাবত তালাবদ্ধ ছিল। আমার ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আমার রুমের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত মনোয়ারা বেগম বলেন,’ আমি কিছুই বের করতে পারি নাই। আমার সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়া সোহাগ মিয়া স্ত্রী বলেন, ‘ আমার স্বামী অসুস্থ, তাই আমরা কিছুই বের করতে পারি নাই।সবকিছুই পুড়ে গেছে। আমার প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ এছাড়াও মানিক মিয়া দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার, চয়ন দে ৩০-৪০ হাজার, মঙ্গল কালোয়ার ২০-২৫ হাজার, সুবল দে ২৫-৩০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তারা জানান বাড়ির মালিক ঢাকায় অবস্থান করায় তাদের রুম তালা দেওয়া ছিল। মালিকের আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া। এসময় তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করতে চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য