শেরপুরের নকলা উপজেলার মজিদবাড়ি এলাকা থেকে রুমানা আক্তার (১৫) নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। (২৩ নভেম্বর) শুক্রবার সকালে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের মজিদবাড়ী এলাকায় নিজের শয়ন কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন ২২ নভেম্বর রাতে কোন এক সময়ে ঘরের স্মারকের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে। তবে কেন সে আত্মহত্যা করেছে তার সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি। রুমানা মজিদবাড়ী এলাকার ওসমান মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুমানা আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার ২২ নভেম্বর রাতে পরিবারের লোকজনের সাথে রাতের খাবার খেয়ে তার নিজের শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যায়। শনিবার ২৩ নভেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠতে অস্বাভাবিক দেরি দেখে পরিবারের লোকজন রুমানার শয়ন কক্ষে গিয়ে দেখেন সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের রকের সাথে ঝুলে আছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন।
টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুল আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান মিয়ার মেয়ে রুমানা আক্তার মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের ছিলো। সে কেন আত্মহত্যার মতো এমন ঘটনা ঘটালো তা বুঝা বা বলা মুশকিল। পুলিশি তদন্তে আত্মহত্যার আসল কারন জানা যেতে পারে বলে তিনি জানান।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার টালকী ইউনিয়নের মজিদবাড়ী এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল রেকর্ড করে বিষয়টিকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সে কেন আত্মহত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য