ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি ২০০৩ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই মুখ থুবরে পড়ে আছে, চালু হয়নি ২১ বছরেও। অথচ অত্যাধুনিক দ্বিতল ভবনের টার্মিনালে রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। শুধুমাত্র মালিক শ্রমিকদের অনীহায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিণত হয়েছে নেশাখোর ও ভবঘুরের আস্তানা হিসেবে।
শহরে যানজট কমানোসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধায় প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা জুড়ে ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণ করা হয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি। কিন্তু নির্মাণের পর উদ্বোধন হলেও ব্যবহার না হওয়ায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে বাস টার্মিটালটি। এ অবস্থায় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার খুলে বিক্রি করছেন টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশরুম, শপিং ষ্টোর ও বসার ব্যবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এত সুবিধা থাকার পরও যাত্রীদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ অবস্থায় শীঘ্রই টার্মিনাল সংস্কার করে তা চালুর দাবি যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে, দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে চালু করার প্রস্তুতি চলছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য