সুনামগঞ্জ শহরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য স্পিডব্রেকার। বেশিরভাগ স্পিডব্রেকার প্রয়োজনের তুলনায় অতি উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করাও হয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। শহরের উকিলপাড়া, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, জামাইপাড়া, হাজীপাড়া, নতুনপাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালিসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় এসব স্প্রিডব্রেকার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, পিটিআইসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে তৈরি করা হয়েছে এসব স্প্রিডব্রেকার। বেশিরভাগ স্পিডব্রেকারই অতি উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে। কোনো স্পিডব্রেকারই রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়নি। যার ফলে দূর থেকে দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিভিন্ন যানবাহন।
এতে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতিসহ আরোহীরাও মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন। এ যেনো দুর্ঘটনার আরেক ফাঁদ। সমাজকর্মী সাইফুর রহমান তারেক বলেন, সদর উপজেলার আব্দুজ জহুর সেতুর টোল প্লাজায় তিনটি স্পিডব্রেকার দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এতটা স্পিডব্রেকার ওইখানে দরকার নেই। আশা করি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আসবে। সুমন আহমেদ বলেন, স্পিডব্রেকার যেনো দূর্ঘটনার কারণ না হয়, এজন্য সাদা, লাল রং করা উচিত।
তন্ময় আহমেদ বলেন, এসব উঁচু স্পিডব্রেকারে গাড়ির সাইলেন্সার লেগে যায়। এতে গাড়ির ক্ষতিসহ দুর্ঘটনাও ঘটে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর দেয়া দরকার।
সাংবাদিক ও সমাজকর্মী একে কুদরত পাশা বলেন, শহরের পিটিআই এর সামন থেকে ওয়েজখালী পর্যন্ত সড়কে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে ১১ টি স্পিডব্রেকার। এতো স্পিডব্রেকার দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এগুলো ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, সড়কে স্পিডব্রেকার পাবলিক ডিমান্ডের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। আমরা এগুলোর পক্ষে নই। এতে দুর্ঘটনা কমবে না বাড়বে বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের ভাবা উচিৎ।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য