গাইবান্ধা সদর উপজেলায় নেশা না করা ও গানবাজনা বাজানো নিষেধ করায় এক মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মওলা মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মওলা ইমামকে পথে আটকিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়াসহ কিলঘুশি মারেন। এসময় তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়।
মাদক সেবনসহ মওলা মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে বানিযারজান এলাকায় মাজার বানিয়ে নেশা সেবন ও গানবাজনাসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। মওলা মিয়া বানিয়ারজান এলাকার জলিল মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী মসজিদের ইমামের নাম মো. শাহজালাল। তিনি সদর উপজেলার ৭ নং বারিয়ারজান বায়তুল হুদা জামে মসজিদের ইমামতি করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে রবিবার গতকাল (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বানিয়ারজান বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লিসহ এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষোভকারীরা দ্রুত অভিযুক্ত মওলাকে গ্রেফতার করে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।
এরআগে, দুপুরে বানিয়ারজার বাজারের অদুরে আব্দুল লতিফের বাড়ির সামনের রাস্তায় মসজিদের ইমামা শাহজালালকে পথরোধ করে এলোপাথারী কিলঘুষসহ মারধর করেন অভিযুক্ত মওলা মিয়া।
মুসল্লিসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে মওলা নামাজ চলাকালীন সময়ে উচ্চ স্বরে গানবাজনা করে আসছেন। তিনি মজিদ বাবার মাজার নামে একটি মাজার করেন। সেখানে সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকসেবির আড্ডা ও গানবাজনা চলে। এতে মুসুল্লিদের নামাজে বিঘ্ন ঘটে। বারবার তাকে নিষধ করেও তার গানবাজনা বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ গত বুধবার দুপুরে মসজিদের ইমাম শাহজালাল সাহেব মওলাকে নামাজের সময় গানবাজনা করতে নিষেধ করেন। এরেই জেরে মওলা ইমামকে পথে আটকিয়ে মারধর করে।
ভুক্তভোগী ইমাম মো. শাহজালাল বলেন, গানবাজনা ও নেশা করার প্রতিবাদের কারণেই মওলা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা দেয়। এসময় আমার গায়ে হাত তোলে মওলা। এরআগে মওলাসহ তার লোকজন আমার কাছে ভুল স্বীকার করেছিলো। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি করছি।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য