-->

শিক্ষকের ইটভাটা জবরদখল করলেন আ.লীগ নেতা

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
শিক্ষকের ইটভাটা জবরদখল করলেন আ.লীগ নেতা

ভোলার চরফ্যাশনে সাবেক ছাত্রদলের সভাপতির সাথে আতাঁত করে কলেজ শিক্ষকের ইটের ভাটা জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুন ও তার ভাই এনায়েতের বিরুদ্ধে। কলেজ শিক্ষকের নামে ইটের ভাটার মালিকানার বৈধ কাগজপত্র থাকলেও গত কয়েকদিন আগে ওই শিক্ষক তার ভাটায় ইট কাটা শুরু করলে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাই তার শ্রমিকদের তুলে দিয়ে ওই এওয়াজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নিউ পদ্মা ব্রিকস তারা জবরদখল করে নেন। ব্যাংক লোনের মাধ্যমে গড়ে তোলা তার মালিকানাধীন ইটের ভাটা জবরদখল হওয়ায় দেনার দায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক।

এ ঘটনায় রোববার কলেজ শিক্ষক আলামিন মুন্সি জেলা প্রশাসক ভোলা সহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ শিক্ষকের ইটভাটা দখল করে নিজেদের বলয়ে আবাদী জমির মাটি কেটে প্রস্তুত করছেন ইট। আবাদী জমির মাটি কাটায় বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার কৃষকরা। আবাদী জমির মাটি কাটায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভেঙে পড়েছে কৃষকের ফসলী জমি।

শিক্ষক আলামিন মুন্সি জানান, শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুনের কাছ থেকে ৩ একর জমি ৫ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে নিউ পদ্মা ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা নির্মাণ করেন। ভাটা নির্মাণ শেষে তিনি ২০২২ সালে জমির ভাড়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী নিজের নামের ইট পোড়ানোর বৈধ অনুমোদন নিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করছিলেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই জমিতে নিজের ভাড়ায় মালিকানা থেকে তিনি চলতি মৌসুমে ইট কাটার মৌসুম শুরু হলে ইট কাটার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু জমির ভাড়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী ভাটার তার নামের বৈধ কাগজপত্র ও তার মালিকানা থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুন ও তার ভাই এনায়েত ওই ভাটা থেকে সকল স্থাপনাসহ তাকে উচ্ছেদ করে দেন। এবং ওই ভাটা সংলগ্ন তার নিজের খরিদা জমি থেকে ইট প্রস্তুতের জন্য জোরপূর্বক তার জমি থেকে মাটি কেটে নেন তারা। এতে প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, তিনি ব্যাংক লোন নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করেছেন। চলতি মৌসুমে তার ইটভাটাটি জবরদখল হওয়ায় ব্যাংকের লোন পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। তার চুক্তিপত্র অনুযায়ী তার ইটভাটা ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ আল মামুনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই এনায়েত জানান, ওই ইটভাটার মালিক এখন যুবদল নেতা রিয়াদ সিকদার। তিনি পূর্বের মালিকদের সাথে সমন্বয় করে ইটভাটার মালিক হয়েছেন।

সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি রিয়াদ সিকদার জানান, তিনি পূর্বের মালিকদের কাছ থেকে ভাড়ায় নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইটভাটার মালিক হয়েছেন। জবরদখলের বিষয় সঠিক নয়।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version