-->

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের লিফট অকেজো

রোগীদের চরম ভোগান্তি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের লিফট অকেজো

চারদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সাত তলা ভবনের একটি লিফট অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এতে ভবনে ওঠা-নামা করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে অকেজো লিফটটি সচল করতে তারা কাজ করছে।

হাসপাতাল থেকে জানা যায়, ১০০ শয্যার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১৫০ বাড়িয়ে ২০২০ সালে এর নামকরণ করা হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার জন্য সাততলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং এই ভবনের ওঠা-নামার জন্য দুটি লিফট দেওয়া হয়। ভবনটির সার্বিক তদারকি করেন, ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের সাততলা ভবনে ওঠা-নামার জন্য দুটি লিফট রয়েছে। এর মধ্যে একটি লিফট অকেজো হয়ে পড়েছে। লিফট না পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে সাততলা ভবনের বিভিন্ন তলায় নেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সদরের জগন্নাথপুর এলাকার নাজমুল আলম বলেন, “চারদিন ধরে সাততলা ভবনের একটি লিফট অকেজো। একটি লিফট সচল থাকলেও তাতে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ রোগীর অনেক চাপ এই হাসপাতালে। তাই বাধ্য হয়ে সিঁড়ি বেয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন তলায় যেতে হচ্ছে।”

পঞ্চগড় থেকে আসা আলিমুজ্জামান বলেন, “একটি লিফট অকেজো থাকায় কষ্ট করে সিঁড়ি বেয়ে হাসপাতাল ভবনের বিভিন্ন তলায় যেতে হচ্ছে। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে অকেজো লিফটি সচল করা হোক।”

ঠাকুরগাঁও শহরের জুয়েল ইসলাম বলেন, “জেলার প্রায় ১৬ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের শেষ আশ্রয়স্থল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালের সাততলা ভবনে ওঠা-নামার জন্য দুটি লিফট রয়েছে। এর মধ্যে একটি লিফট গত চারদিন ধরে বন্ধ। কর্তৃপক্ষ ঠিক মতো তদারকি করলে এই ভোগান্তি লাঘব হবে।”

হাসপাতালের লিফট অপারেটর জাগ্রত চন্দ্র রায় বলেন, “দুটির লিফটের মধ্যে কয়েকদিন ধরে একটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম চয়ন বলেন, “হাসপাতালের লিফটগুলো ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগ তদারকি করে। সমস্যা সমাধানের জন্য গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই লিফটগুলো মেরামত করে সচল করা হবে।”

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, “হাসপাতালের লিফটির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়েছে। যা ঠাকুরগাঁওয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ঢাকা থেকে সেই যন্ত্রাংশটি আনার জন্য যোগাযোগ করছি। কিছুদিনের মধ্যে যন্ত্রাংশটি এলে সমস্যার সমাধান হবে।”

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version