মরুভূমির ফল ‘সাম্মাম’ শেরপুরের পাহাড়ি মাটিতে চাষ করে সফলতা অর্জনের পর এখন গ্রামের সমতলেও চাষ হচ্ছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই ফল কম খরচে বেশি লাভের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে সাম্মাম চাষের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যা গ্রামের মানুষের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি করেছে। কৃষি বিভাগ আগ্রহীদের সহযোগিতা করছে।
জানা গেছে, কৃষি উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি বাড়িতে সবজি চাষ শুরু করেন। ইউটিউবে সাম্মাম সম্পর্কে জেনে রাজধানী থেকে বীজ সংগ্রহ করে ২৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। মাত্র এক মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং দেড় মাসের মধ্যেই ফল ধরতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যে কম খরচে বেশি লাভের আশা করছেন শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আগে তারা সাম্মাম চাষ শুধুই বিদেশে হতে দেখেছেন। কিন্তু এদেশে চাষ সম্ভব বলে জানতে পারেন শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে। তারা বলেন, “ফলটি খুব মিষ্টি, রসালো এবং সুস্বাদু। অল্প সময়েই প্রচুর ফল ধরে। বাজারেও এর চাহিদা ভালো। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আমরাও সাম্মাম চাষ করতে আগ্রহী।”
কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে তাদের কাজে আসবে। সাম্মাম চাষে আরও কৃষককে আগ্রহী করে তুলতে তারা সচেষ্ট।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষামূলকভাবে সাম্মাম চাষে সফলতা এসেছে। বাগানের পরিচর্যায় সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশেপাশের অনেকেই সাম্মাম চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।
সাম্মাম মূলত মরু অঞ্চলের ফল। এটি রকমেলন বা হানিডিউ মেলন নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে এই ফলের চাষ খুবই সীমিত হলেও অনেক কৃষক এখন এ বিদেশি ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য