আলোচিত ওসি প্রদীপের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকির জামিন

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
আলোচিত ওসি প্রদীপের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকির জামিন
ওসি প্রদীপ ও চুমকি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকি কারণ জামিন পেয়েছেন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এ মামলায় ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আপিল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।

দুদকের মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার পর চুমকি কারণ পলাতক ছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ হত্যা মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

একই বছরের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য