ব্লগস্পটে শেয়ার করুনপিরোজপুর সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আওয়ামী সরকারের ১৭ বছরের লাগামহীন দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত পিরোজপুর এলজিইডির দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে পিরোজপুরের সাধারণ ঠিকাদার ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টের কাজ না করে, কিছু কাজ করে বিল তুলে নিয়েছে। বছরের পর বছর সেই কাজগুলো পরে রয়েছে।
পিরোজপুর এলজিইডির দুর্নীতির মূল হোতা হলো সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম এবং তার ভাই পিরোজপুর-২ আসনের সাংসদ মহিউদ্দিন মহারাজ। তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যে পিরোজপুর এলজিইডিতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আমরা এলজিইডির দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এই লুটপাটকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম কিসমত, জেলা কৃষক দলের সভাপতি নাছির আহম্মেদ বাচ্চু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তনজিদ রশিদ বাপ্পি, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব খান, জেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজান শেখ এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. ফেরদৌস প্রমুখ।
পরে বক্তারা বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে যদি গণশুনানি না করা হয়, তাহলে পিরোজপুরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এলজিইডি ভবনে অবস্থান কর্মসূচি, অনশন ও মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য