চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় ৮ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন- ইমন চক্রবর্তী, সুজন দাশ, সৌরভ দাশ, রফিক, সুমন দাশ, রুপন দাশ, আহমেদ হোসেন ও সাকিবুল আলম।
চট্টগ্রাম আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দীন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিদের সবাই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের ঘটনায় কোতোয়ালী থানার দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার-এর আদালত।
মামলা সূত্র জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য