নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকা পূর্ণবাসন ও সম্প্রসারন প্রকল্পের সংস্কার কাছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংস্কার কাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন জায়গায় ধরেছে ফাটল এতে ক্যানেলের পাশে থাকা আবাদী জমি ও ফসল নিয়ে দুচিন্তায় কৃষক।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের খোলাহাটি থেকে কারবালার ডাঙ্গা পর্যন্ত দরপত্র অনুয়ায়ী ৭ কোটি ৮ লাখ ব্যায়ে টি-২ এস ৭টি সেচ খালের উভয় পূর্ণবাসন ও শক্তিশালী প্রকল্পের কাজ করছেন পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল কালাম আযাদ। সেখানে অ্যাকোয়াভুক্ত জমির মাটি কেটে ডাইকে দেওয়া, ক্যানেলের (বাঁধ) ডাইকের মাটি কমপ্যাকশন না করা ও পলিথিন ছাড়াই মাটির ওপর যেনতেনভাবে সিসি ঢালাই দেওয়ার ফলে কাজের কিছুদিন পরেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে।এতে মাটিতে পলিথিন না দিয়ে ময়লাযুক্ত পাঁচমিশালি সিঙ্গেজ পাথর,ধুলার ন্যায় বালু ও কম সিমেন্টে যেনতেনভাবে সিসি ঢালাই দিয়েছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আরও জানা যায়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যানেলের পাশের অ্যাকোয়ারভুক্ত জমির মাটি কেটে ক্যানেলের পাড় নির্মাণ করেছে।সেখানে ফাটল ধরায় বর্ষাকালে ক্যানেলের পাড় ভেঙ্গে কৃষি জমির ক্ষতি হবে বলে বলছেন কৃষকেরা।
ওই এলাকার কৃষক আমজাদ আলী বলেন, এখানে ক্যানেলের কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেমন তেমন ভাবে কাজ করছে।এখানে তারা রাতের মধ্যে ঢালাই দিয়ে ক্যালেনের পাড় ঢালাই করে এর কিছুদিন পর আবার সেই পাড় ভেঙ্গে যায়। এভাবেই তারা গোঁজামিল দিয়ে অনিয়ম করে এসব কাজ করছেন।ক্যালেনের কাজ ভালো না হলে বর্ষাকালে পাড় ভেঙ্গে জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
আরেক কৃষক মনোয়ার হোসেন বলেন, এখানে তারা কাজ করছে, যখন করে ঢালাই দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিততে তারা কাজ করেন।আমরা এ কাজ নিয়ে দুচিন্তার মধ্যে আছি। কাজ ভালো হচ্ছে না কাজ ভালো না করায় আমাদের জমি ও ফসল ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবুল কালাম আযাদের পক্ষে ম্যানেজার কোশিক দত্ত বলেন, আমাদের এখানে কাজের কোন অনিয়ম নাই।
সংশ্লিষ্ট কাজের এসও মিজানুর রহমান বলেন, সেখানে কাজ করার কিছুদিন পরে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু গাফলতির কারনে সেটি হয়েছে আমরা বলেছি দ্রুত সেটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য। কাজের অনিয়মের বিষয়ে আমরা সর্তক করেছি। আমরা কাজ বুঝে নেওয়ার আগে সব ঠিকঠাক দেখে বুঝে নিব।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, এই কাজের বিষয়ে আমি গতকাল জেনেছি সেখানে একজনকে পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। আমরা সেটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিব।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য