সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে চারটি বসতঘরে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল ও ক্ষয়ক্ষতি
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, মৌলারপাড় গ্রামের রফিক মিয়া ওরফে রফু এবং ফজলু মিয়াসহ তাদের পরিবারের চারটি বসতঘরে আগুন লাগানো হয় এবং লুটপাট চালানো হয়। সংঘবদ্ধ একটি দল ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, ধান ও চাল আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের ভূমিকা
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে এসময় তাদের কাজে বাধা দেয় ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। ফায়ার সার্ভিসের ওপর হামলার চেষ্টা করা হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষ
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মৌলারপাড় গ্রামের রফিক মিয়া ও ফজলু মিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আল-আমিন এবং মৌলারপাড় গ্রামের দিলো মিয়ার পুত্র আল-আমিন গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এই ঘটনার জেরেই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ
রফিক মিয়া ওরফে রফু মিয়া অভিযোগ করেন, চৌধুরীপাড়া গ্রামের মৃত লায়েছ মিয়ার পুত্র আল-আমিন মেম্বার, বশির, কামাল উদ্দিন ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দল তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগায় এবং লুটপাট করে।
অন্যদিকে ইউপি সদস্য আল-আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমি ও আমার পরিবারের কেউই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই।"
প্রশাসনের বক্তব্য
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বাধা দেওয়া এবং হামলার চেষ্টার মুখে তারা কাজ চালিয়ে যান।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার পরপরই রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য