খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলি ইমাম মজুমদার বলেছেন, চলমান আমন সংগ্রহ মৌসুমে সরকার-নির্ধারিত মূল্যে ধান-চাল সরবরাহ করলে কৃষক-মিলারদের লোকসানের সুযোগ নেই। কারণ উৎপাদন খরচের সাথে কিছু লাভ যুক্ত করেই সরকারি উচ্চপর্যায়ের কমিটি এই মূল্য নির্ধারণ করেছে। আগামী মৌসুমে এই দাম আবারও সমন্বয় করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জে রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথাগুলো বলেন।
চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রত্যাশা করে খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেছেন, ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে দাম বাড়লে ওএমএস, ভিজিডিসহ বিভিন্নভাবে এই ধান-চাল বাজারে সরবরাহ করে দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।
চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন, ধান ৫৩ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন ও আতপ চাল ১৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে চাল ২৮ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন ও ধান ২০৬ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৮ জেলা থেকে লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহম্মদ এনডিসির সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ: খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও বিভাগের সকল জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং রাজশাহী ও খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য