রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্টুনে আটকে যাওয়ায় ফেরি চলাচল প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষে ফেরিঘাট পুনরায় চালু করা হয়।
কাভার্ডভ্যানটি সংযোগ সড়ক থেকে ফেরিতে ওঠার সময় ব্রেক কাজ না করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্টুনে আটকে যায়। দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক ফিরোজ ও তার সহকারী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। তবে সহকারী সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
চালক ফিরোজ বলেন, "গাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস ছিল। সেটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর আমি গাড়ি চালাই। কিন্তু হঠাৎ ব্রেক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে গাড়িটি পন্টুনে আটকে যায়। আমার সহকারী সামান্য আহত হয়েছে।"
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাটের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। “যাতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সকাল ১১টার দিকে কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, "পন্টুন ও ফেরিঘাটের ক্ষতি এড়াতে আমাদের টিম ধীরস্থিরভাবে কাজ করেছে। বর্তমানে ফেরিঘাটের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।"
ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় অন্যান্য ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, যা তাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
স্থানীয়রা এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিঘাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, যানবাহনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য